RSS

Monthly Archives: April 2018

চলে গেলেন ড. আফিয়া সিদ্দীকা

মরে গিয়ে বরং বেঁচেই গেলেন কোরআনের হাফেজা আফিয়া সিদ্দিকা । বিশ্বের একমাত্র নিউরো সাইন্টিস্ট ড. আফিয়া সিদ্দিকা অবশেষে মুক্তি পেলেন নারকীয় যন্ত্রনা থেকে। নিস্তার পেলেন মার্কিনী ধর্ষকদের খেলা ও বিশ্ব দর্শকদের হেলা থেকে। বেঁচে গেল পিচ্চি মেয়ে মালালাও।

আশ্চর্য এক ম্যাসেজ মিলছে এ দু’জন থেকে। দু’জনই পাকিস্তানি। মালালা স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরী আর আফিয়া হলেন পি.এইচ.ডি হোল্ডার। একজনকে ওরা খুবলে খায় আর অন্যজনকে নিয়ে মেতে ওঠে পরিকল্পিত খেলায় !
.
ড. আফিয়াকে আল-কায়েদার সাথে জড়িত সাজিয়ে ইউএস আদালত সাজা দেয়। সাথে দেয় গণ ধর্ষণের অলিখিত লাইসেন্স। আর মালালাকে কোলে তুলে গেয়ে উঠে মানবতার গান ! বিশ্ববিবেক গা ভাসায় স্রোতের অনুকূলে আর মানবতার ধ্বজাধারীরা বসে থাকে মুখে কুলুপ এটে।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ার চোখ এড়িয়ে যায় এ দিকটা। আরব্য মুসলিম শাসকগণ তো আগ থেকেই হাতে চুড়ি আর পায়ে দাসত্বের বেড়ি পরা। দেখতে থাকে, বুঝতে থাকে আর গাইতে থাকে মনে মনে, তুমি চোর হইয়া চুরি করো আর পুলিশ হইয়া ধরো, সর্প হইয়া দংশন করো ওঝা হইয়া ঝারো!
.
দুইঃ
.
২০০৩ সালে প্রথমে কিডন্যাপ করা হয় ড. আফিয়াকে। এ কিডন্যাপিংয়ে সহায়তা করে খোদ পাকিস্তান সরকার। গুম করে রাখা হয় ২০০৮ পর্যন্ত। নিয়ে যাওয়া হয় আমেরিকান টর্চার সেলে। চলতে থাকে দিনের পর দিন গণ ধর্ষণ। তাকে উলঙ্গ করে কুরআন শরীফের পাতা ছিড়ে মেঝেতে বিছিয়ে রেখে বলা হত, যাও! কুরআনের উপর দিয়ে গিয়ে কাপড় নিয়ে এসো। ড. আফিয়া সেটি করতে পারতেন না। কারণ, তিনি মুসলমান।
.
কারণ তিনি কুরআনকে ভালবাসতেন। ৩০ পারা কুরআন তার বুকে ছিল। তিনি একজন হাফেজাও ছিলেন। ফলে তার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যেত।
.
২০০৮ সালে তাকে নিয়ে সাজানো হল মূল নাটক। এক মার্কিনী খ্রিষ্টান সেনা হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখানো হল। শুরু হয় বিচারিক প্রহসন।
.
আমেরিকান আদালত তাকে ৮৬ বছরের সাজা ঘোষণা করে! একজন নারী, একজন মুসলিম সাইন্টিস্ট কুরআনে হাফেজাকে নিয়ে বিশ্ব মোড়লরা মেতে উঠলো নোংরা খেলায়। ছয়’শ কোটি মানুষের এ পৃথিবীতে দেড়’শ কোটি মুসলমানের এ দুনিয়ায় কেউ কিছু বললো না!
.
আশ্চর্য এক পৃথিবীতে আমাদের আবাস ! ড. আফিয়ার বিরুদ্ধে প্রহসনের বিচারিক রায় ঘোষণার সময় তাকে কিছু বলতে বলা হলে বিচারকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন :

আপনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন আমাকে রেফ করার, উলঙ্গ করে সার্চ করার! আপনার কাছে কিছুই বলবার নেই আমার। আমি আমার আল্লাহর কাছে যেয়েই যা বলার বলবো। আমি তো সেদিনই মরে গেছি, যেদিন আমাকে প্রথম ধর্ষণকরা হয়েছিলো। আমাকে ছেড়ে দিন। আমাকে আমার দেশে যেতে দিন।
.
সেই আফিয়া মারা গেলেন অবশেষে। আমি বলি মারা যাননি, আসলে তিনি বেঁচেই গেলেন।

২০০৩ থেকে মরে ছিলেন তিনি। মৃত্যুর মাধ্যমে বরং বেঁচে গেলেন তিনি। তাকে আর খুবলে খাবে না পিশাচের দল! তাকে আর বিবস্ত্র করে বলা হবে না, যাও কুরআনের উপর পা রেখে কাপড় নিয়ে এসো গিয়ে!

উফ! কী অসহ্য যন্ত্রনার-ই-না ছিলো নয়’টি বছর!

ড. আফিয়ার সাথে নোংরা খেলার এ নায়কদেরই যখন দেখি মালালাকে নিয়ে মাথা ঘামাতে, হা হুতাশ করতে, মানবতার পক্ষে বড় বড় বুলি আওড়াতে, তখন সন্দেহ করতে ইচ্ছে করে মালালা তাদের নিজেদেরই প্রডাকশন কি না! অথবা উদ্দেশ্য হাসিল করবার জন্যে তারা নিজেরাই তালেবান সেজে মেয়েটিকে গুলি করেছে কি না!
.
তিনঃ

বিশ্বের একমাত্র স্নায়ূ বিজ্ঞানী ড. আফিয়া সিদ্দিকা’র মূল অপরাধ ছিল তিনি এতো উচ্চ শিক্ষিত হয়েও কুরআনের প্রতি ঝুকে ছিলেন কেনো? কুরআন থেকে কেন রেফারেন্স টানতেন?

১৯৯৩ সালের একটি ভিডিও ক্লিপের সৌজন্যে আমার সুযোগ হয় একুশশতকের এ হযরত সুমাইয়ার বক্তব্য শোনার। আমি মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম আমার বোনের কথাগুলো। কুরআনের একটি একটি আয়াত তেলাওয়াত করে বৈজ্ঞানিক সূত্রে কথা বলছিলেন তিনি। তিনি বলছিলেন, ইসলাম হলো নারীর সুরক্ষক। ড. আফিয়া সিদ্দিকার বক্তব্যের অংশ ইউটউব থেকে দেখতে পারেন।

মানুষটিকে ওরা মেরে ফেলল তিলে তিলে। অকথ্য নির্যাতন করে। বিশ্ব মিডিয়া চেপে গেলো খবরটি সেই প্রথম থেকেই। ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক চিঠিতে মুসলিম জাতিকে তিনি ঘুমন্ত মৃত জাতি বলে সম্ভোধন করে কিছু আক্ষেপের কথা বলেছিলেন।

বলে ছিলেন, আমি আর তোমাদের সাহায্যের আশা করি না। আমি তোমাদের বোন না। তোমরা কেউ মুহাম্মদ বিন কাসেম না। আমি আমার আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাই, আর কারো কাছেই না। আফিয়া মিথ্যে বলেননি মোটেও।
.
সেকুলার লিবারেল ছোট্ট একটি মেয়ে মালালাকে এ সময়ের সেরা বুদ্ধিজীবি বানিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হলো আর ওদিকে আফিয়ার উপর চলতে থাকলো পৈশাচিক নির্যাতন। কেউ কিছু বললো না। কেউ বললো না ছোট্ট মেয়ে মালালাকে যে বা যারাই গুলি করেছে, অন্যায় করেছে, চরম অমানবিক কাজ করেছে। তালেবানরা এটা করে থাকলে তাদের অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। দোষীদের খোঁজে বের করে ফাসিতে ঝুলানো উচিত।

কিন্তু কথা তো এখানেই শেষ হতে পারে না। এক মালালাকে নিয়ে এতো দৌড় ঝাপ কিন্তু বিশ্বে যে আরো মালালা আছে। ইরাকে, আফগানে, ফিলিস্তিনে, পশ্চিমা ন্যাটো ঝুটের অবিরত ড্রোন হামলায় যে মালালারা মারা যাচ্ছে, তাদের কী হবে?
.
২০০১ থেকে এ পর্যন্ত শুধু আফগানিস্তানেই মারা হয়েছে ১৩ হাজার ২শ থেকে বেশি শিশু। যাদের বয়স ১৫ থেকে কম। অর্থাৎ যারা প্রত্যেকেই এক একজন মালালা। এদের বেলায় মানবতা নিরব কেনো? নাকি বিশ্ব সভ্যতার ঠিকাদার কর্তৃক অসভ্যতা চললে সেটাকে অসভ্যতা বলতে হয় না! কী জানি! তাদেরই তৈরি সাদ্দাম হোসেন যতদিন তাদের ফরমাবরদারী করেছিলেন, ঠিক ছিলেন। যখনই বেঁকে বসেছিলেন তিনি, ঝাপিয়ে পড়া হয়েছিলো ইরাকে। আর এই সময় এক লক্ষেরও বেশি ইরাকি শিশুকে হত্যা করলো ন্যাটো বাহিনী। কোথায় ছিলো তখন বড় বড় বুলি?

আমেরিকার পদলেহন করলে সাদ্দামই করেছিলো। রুখে দাড়ালে সাদ্দামই দাঁড়িয়েছিলো। এ শিশুরা তো কোনো পাপ করেনি। এ শিশুরা তো অস্ত্র ধরেনি। কেন তবে হত্যা করা হলো এদের?

মালালা আমার বোন। সে সুস্থ হোক। কিন্তু ইরাকের এ শিশুরা কি মালালা থেকে কম? তাহলে কেনো তাদের বেঁচে থাকার অধিকার থাকবে না? ডবল স্ট্যান্ডার্ড আর কতদিন চলবে?

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিকরাষ্ট্র মহাত্মা গান্ধীর ভারতে গেলো চল্লিশ বছরে সাত হাজারের বেশি কাশ্মিরী শিশুকে জীবন দিতে হয়েছে। এ শিশুরা, আফগান, ইরাক আর কাশ্মিরের। এই শিশুরা তো আর সন্ত্রাসবাদী ছিলো না। এরা কোথাও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেয়নি। এরা জীবনে কাউকে একটা গুলিও করেনি। তাহলে এদের মেরে ফেলা হলা কেনো? এ শিশুদের অপরাধ কী ছিলো? বিশ্ব মানবতা এদের বেলায় নিরব কেনো?
.
একজন মালালাকে নিয়ে আধিখ্যেতার অন্ত নেই। বিশ্বের অত্যাধুনিক হাসপাতাল গুলোতে চলছে তার চিকিৎসা। অথচ, ইরাকে আফগানে ফিলিস্তিনে আহত মালালাদের দেখবার কেউ নেই!

মালালার পেছনে খরচ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ডলার আর এদিকে তাদেরই আঘাতে রাস্তায় পড়ে কাতরাতে থাকা শিশুরা পয়সার অভাবে ধুকছে মৃত্যু যন্ত্রনায়! কেনো? মানবতার নামে কেনো এ উপহাস?
.
চারঃ
.
মারা গেলেন ড. আফিয়া সিদ্দিকা। নয় নয়টি বছর লাগাতার ধর্ষণ আর নির্যাতনের সাথে সাথে তার শরীরে ক্যান্সারের বীজও পুতে দিয়ে ছিলো সভ্যতার মুখোশপরা মার্কিনী নরপশুরা। শারীরিক আর মানসিক যন্ত্রনার দু:সহ নারকীয় একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো।
.
বুকে কুরআন নিয়ে মাথা উচু করেই বিদায় নিলেন আফিয়া। চলে গেলো বোনটি আমার। আমরা তাকে বাঁচাতে পারলাম না। তার চে’ দু:খজনক হল বাঁচানোর চেষ্টাটা পর্যন্ত করলাম না।
.
কেউ বললাম না ড. আফিয়া যদি অপরাধ কিছু করেই থাকেন, নিরপেক্ষ আদালতে তাঁর বিচার হতে পারে (যদিও জানি না সেটি কোন গ্রহে আছে)। কিন্তু বিশ্বের একমাত্র নিউরো সাইন্টিস ও কোরআনের হাফিজা একটি মেয়েকে এভাবে বছরের পর বছর আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা আর নির্যাতন করা তো কোনো সভ্য পৃথিবীতে চলতে পারে না! হায়রে সভ্যতা! হায়রে মানবতা!

আজকাল মানুষে আর পশুতে পার্থক্যটা এতো কমে এসেছে যে, ফারাক করতে কষ্ট হয়।.মালালা বেঁচে উঠছে। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠুক। সে সেরে উঠেছে। বিশ্বের বড় মোড়লরা আছে তার সাথে।

আর ঐ যে ! ইরাকে আফগানে বা ফিলিস্তিনে, যারা ধুকছে, এরা হতভাগা! এদের জন্যে কাঁদবারও কেউ নেই। চিকিৎসা করাবারও কেউ নেই? নিয়তির মতিগতির দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তাদের আর আর কিছু করার নেই!

অবাক পৃথিবীই আমাদের ঠিকানা! মালালা ইউসুফজাইকে ওরা কোলে তুলে নিয়েছে এ বলে যে, মালালা ছিলো নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে সোচ্চার কণ্ঠ। আফিয়াকে ওরা মেরে ফেলেছে তিলে তিলে। কারণ, আফিয়া ছিলেন উচ্চ শিক্ষিতা, নিউরো সাইন্টিস্ট।

তবু ওরা কী চায়, কীভাবে চায়, বিশ্ব বিবেক তবুও বুঝে না। নাকি বুঝেও বুঝে না! তবে একটি ব্যাপার বুঝতে পারছি। আমাকে অনেকগুলো চুড়ি কিনতে হবে বিশ্বের দেড়’শ কোটি মুসলমান নেতৃবৃন্দকে পরিয়ে দেবার জন্য। এ ছাড়া আমার আর কী বা করার আছে!

কুরআনের অনুসারী হয়ে ছিলেন বলে মক্কার মুশরিকরা হযরত সুমাইয়াকে উত্তপ্ত বালুতে শুইয়ে রেখে অকথ্য নির্যাতন করতো। আগেই জানানো হয়েছে আফিয়া ইস্যূতে মিডিয়া নিরব! তাই তাঁর মৃত্যুর ব্যাপারেও পরিষ্কার করে জানানো হচ্ছে না কোনো কিছূ।

ড. আফিয়ার মৃত্যু সংবাদটি সঠিক হলে আর তিনি মারা যেয়ে থাকলে ইতোমধ্যে নিশ্চই সুমাইয়ার হাত ধরে বসে আছেন। তাহলে ভাল আছেন তিনি। কিন্তু বিশ্ব মুসলিম ভালো থাকবে কেমন করে? আর ওপারে যেয়েই বা কী জবাব দেবে? আফিয়া তো চলে গেলেন! বিশ্ব বিবেকের গালে চপেটাঘাত করে।

একজন আফিয়া এভাবে নিষ্পেষিত হয়ে বিদায় নিলো আমাদের চোখের সামনে। কেউ কিছু বললো না! কেউ কিছু করলো না! বুঝতে পারছি না ধিক্কার আমি কাকে দেবো?

– আব্দুল্লাহ আল হাসান

 

তাহাজ্জুদের নামায

বিখ্যাত বুযূর্গ জুনাইদ বাগদাদী রহ.
এর ইন্তিকালের পর জনৈক ব্যক্তি
তাঁকে স্বপ্নে জিজ্ঞেস করলেন– হে
আবুল কাসেম ! (উপনাম) আপনার
কী অবস্থা? এই জগতের কোন জ্ঞান
আপনার বেশি উপকার করেছে?!
উত্তরে তিনি বললেন, সব রকমের
তথ্য ও তত্ত্বজ্ঞান বেকার ও অনর্থক
সাব্যস্ত হয়েছে ! ঐ কয়েক রাকাত
সালাতই শুধু আমার কাজে এসেছে,
যা আমি রাতের নির্জনতায় আদায়
করেছিলাম ৷
[ ইমাম গাযালীর (রহ.) চিঠি থেকে ]

 

বাল্য বিয়ে/বিবাহ

হায়, এদেশে ‘বাল্য বিয়ে’ নামক কথিত অপরাধের (!) জাঁতাকলে পিষ্ঠ হয়ে আঠারো হয়নি বলে বাবা-মা আজ তাদের ষোল / সতেরো বছরের মেয়েকেও বিবাহ দিতে পারছেন না নির্বিঘ্নে ! বিয়ে বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে যাচ্ছে ‘বন্ধুবেশী’ সাংবাদিকসহ সরকারী ও বিভিন্ন এনজিও আমলারা ! ‘বাল্য বিয়ে’ নামক এই ভয়াবহ অপরাধের (!) কারণে মোটা অংকের জরিমানাও গুণতে হচ্ছে অসহায় বাবা-মা ও বর পক্ষকে! বন্ধুবেশী লোকগুলো ডাকাতের মতো কীভাবে লাঞ্ছিত করলো বর-কনে ও তাদের পরিবারকে! উনারা যে শোভাকাঙ্খী বন্ধু! খুব বেশি দুঃখ লাগে তখন, যখন দেখি- বাল্য বিয়ে নামক (বাস্তবে যা যথোপযুক্ত বিয়ে) বিষয়কে এই ৯২% মুসলমানের দেশে ‘অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করে দেখালেও, অপরাধ হিসেবে দেখানো হয়না ‘বাল্য প্রেম/সেক্স’ ও বাল্য পতিতাবৃত্তিকে! প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে নানাভাবে বরং এর উৎসাহ এমনকি প্রশিক্ষণও প্রদান করা হচ্ছে! যার অনেক ‘নিশ্চিত প্রমাণ’ দেওয়া যাবে ৷ একটি বৈধ/নৈতিক ও হালাল পদ্ধতিকে বাঁধাগ্রস্থ করে রেখে একটি অবৈধ/অনৈতিক ও হারাম পদ্ধতির দিকে আমাদের সন্তানদেরকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে কু-পরিকল্পিতভাবেই! যা কোন অবস্থাতেই অন্ততঃ ৯২% মুসলমানের দেশে কাম্য নয় ৷

আমার মতে- নিজ কন্যার প্রতি একজন সত্যিকারের বাবা-মায়ের চেয়ে বেশি দয়াবান, বেশি কল্যাণকামী ও বেশি হিতাকাঙ্খী জগতে আর কেউ হতে পারে না, হওয়া সম্ভব নয় ৷ হলে, নিশ্চিত তার/তাদের মতলব খারাপ ৷ কাজেই, কন্যার স্নেহপরায়ণ বাবা-মা ই জানেন ও বুঝেন, কখন তাদের নয়ণের মণি কন্যাকে বিয়ে দিতে হবে এবং কত বছর বয়সী লোকের সাথে ! এখানে অন্য কারো জঘন্য হস্তক্ষেপ করা আদৌ উচিত নয় ৷

বিয়ে-শাদীর ক্ষেত্রে বঙ্গ আইনে ছেলেদের বয়স কিছুটা যৌক্তিক হলেও মেয়েদের বয়স ১৮ নির্ধারণ করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক মনে করছি ৷ ১৮ না হয়ে ১৫-১৬ হলেও কিছুটা মানার মত যুক্তি রাখে ! আপনার মন চায় তো- ৫০ বছরের বুড়ী বানিয়ে আপনার মেয়েকে বিয়ে দিন না! কে না করেছে আপনাকে?! কিন্তু, আমরা মনে করি- সব মেয়ে নয়, অনেক মেয়ে ১৫ বছর বয়সেই বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায় এবং যেভাবেই হোক (মিডিয়া, সিনেমা, নাটক, বাজে সংস্রব) প্রয়োজনীয় সবকিছু এর মধ্যেই তারা শিখে ফেলে ৷ ব্যতিক্রম মনে হলে বাবা-মা ই সিদ্ধান্ত নিবেন যে, কখন তাদের কন্যাকে তারা বিয়ে দিবেন ৷ যুগের অধঃপতন ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোও তারা মাথায় রাখেন ৷ বিষয়টা দায়িত্ত্বশীলদের ‘ইনসাফপূর্ণ’ নজরে আসলে ভালো হতো !

 

হযরত আলীর রা. নসীহত

রাতের আঁধারে এমন কোন
কাজ করো না , যার কারণে
দিনের আলোয় তোমাকে মুখ
লুকিয়ে থাকতে হয় ৷ দিনের
আলোতেও এমন কোন কাজ
করো না , যার কারণে ‘রাতের
ঘুম’ তোমার নষ্ট হয়ে যায় ৷