RSS

মহাসত্যের সন্ধানে হজরত সালমান ফারসী (রা.)

11 Mar

image

সত্য সন্ধানে যে ক’জন মনীষী পৃথিবীতে অমর এবং উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নিয়ে আজো মানুষের অন্তরকে আন্দোলিত করেন, চিন্তা শক্তিকে ভিন্নমাত্রিকতায় নিয়ে যান, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হযরত সালমান ফারসী (রা.)।

তিনি ছিলেন জামানার প্রচীনতম শতবর্ষজীবী মানুষ। বেঁচে ছিলেন আড়াই শত বছর। কোন কোন ঐতিহাসিক বলেন- তিনি আয়ুস্কাল পেয়েছেন সাড়ে তিন শত বছর। নবীজীর ওফাতের পর পঁচিশ বছর জীবিত ছিলেন এবং মদিনাতেই তিনি ইন্তেকাল করেন।

পনের বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর সত্যধর্ম অনুসন্ধান প্রক্রিয়া। তখন তার নাম ছিলো মাহবা। পারস্যের অন্তর্গত ইস্পাহান এলাকাভুক্ত রামহরমুজ অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন তিনি। বাবা ছিলেন সেখানকার বড় জমিদার। তিনি ছিলেন অগ্নিপূজক এবং খুবই ধর্মভীরু। একজন পদস্থ এবং সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও তিনি ধর্মের একটি সাধারণ কাজকেও অবহেলা করতেন না। তার ধর্মানুরাগের জন্যেও লোকে তাকে শ্রদ্ধা করতো।

বাবার একমাত্র পুত্র সন্তান হওয়ায় মাহবাকে তার স্থলাভিসিক্ত করার সব শিক্ষা তিনি দিয়েছিলেন। ছেলেকে কখনো কাছ ছাড়া করতেন না। একদিন বিশেষ কারণ বশতঃ মাহবাকে তার বাবা খামার দেখতে পাঠালেন। পথিমধ্যে তিনি একটি খ্রিস্টানদের উপাসনালয় থেকে কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পেয়ে সেখানে ঢুকে দেখলেন তারা ইবাদত-বন্দেগী করছে । আজকের আগে তিনি কখনো বাইরে আসার এবং লোকদের দেখার সুযোগ পাননি। তাদের নামাজ পড়া, বিনম্র ব্যবহার, রীতিনীতি এবং প্রাণখোলা ব্যবহার তাঁর খুবই ভালো লাগলো। তিনি বাবার আদেশ ভুলে সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করলেন এবং ভাবলেন, তাদের ইবাদত খানায় অন্য মাজহাবের লোক প্রবেশ করলে ইবাদতখানা অপবিত্র হয়ে যাবে এবং অগ্নিদেবতার অভিশাপে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু এখানে সব মানুষের প্রবেশাধিকার রয়েছে। এই নীতিই তো মহান ও শ্রেষ্ঠ। যদি কেউ ধর্ম চর্চা করে পরকালের শান্তি আশা করে, তবে এই ধর্মই শান্তির ধর্ম।

তিনি খ্রিস্টানদের ধর্মমত গ্রহণ করতে চাইলে পাদ্রী বললেন, তাকে জেরুজালেম যেতে হবে। কেননা, এখানকার রাজ আদেশ মতে কোনো অগ্নিউপাসককে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত করা বে-আইনি এবং দণ্ডনীয়। এই আদেশ অমান্যকারীকে এখানে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়ে থাকে।

মাহবা সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে এলে বাবা বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। মিথ্যা বলার অভ্যাস তার ছিলো না। তাই তিনি বাবাকে সব খুলে বললেন। বাবা প্রথমে বোঝালেন। পরে পায়ে শিকল দিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখলেন।

বাবার এই কঠোর ব্যবস্থায় মাহবার মন বিদ্রোহী হয়ে ওঠলো। প্রতিজ্ঞা করলেন যে, সত্য সন্ধানে যদি এমন বাধাই আসে তবে তিনি বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন সব ত্যাগ করবেন।

বন্ধুদের মাধ্যমে মাহবা পাদ্রীর কাছে সংবাদ পাঠালেন যে, সিরিয়ার কোনো যাত্রী কাফেলার খোঁজ পেলে তাকে যেন জানানো হয়। পাদ্রী শিকল কাটার যন্ত্র বন্ধুদের মাধ্যমে মাহবার কাছে পাঠিয়ে দিলেন এবং সিরিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিলেন। যেদিন কাফেলা সিরিয়ার দিকে রওনা হবে সেদিন তিনি পায়ের শিকল কেটে কাফেলার সঙ্গে মিলিত হলেন এবং সিরিয়ায় পৌঁছে গেলেন।

সিরিয়ার প্রধান পাদ্রীর কাছে তাদের ধর্ম গ্রহণ এবং তার খেদমতে থেকে ধর্ম শিক্ষার আগ্রহ জানালেন। সে মাহবাকে তার কাছে রেখে দিলো। পাদ্রীটি ছিলো জঘন্য প্রকৃতির। লোকদের দান-খয়রাতের ওয়াজ শুনাতো। লোকেরা তার কাছে দান-খয়রাত এনে দিলে তিনি তিনি তা গরিব মিসকিনকে না দিয়ে নিজেই সব আত্মসাৎ করতো। সে সাত মটকি সোনা রূপা লুকিয়ে রেখেছিলো। এ অবস্থায় তার মৃত্যু হলে মাহবা উপস্থিত ভক্তদের তার অপকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করলেন এবং লুকিয়ে রাখা সোনা রূপা দেখিয়ে দিলেন। এ দুস্কার্যের জন্য লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার লাশ শূলি কাঠে ঝুলিয়ে পাথরের আঘাতে ছিন্নভিন্ন করলো।

নতুন পাদ্রী নিয়োগ দেয়া হলো। তিনি ছিলেন খুব ভালো লোক। দুনিয়ার লিপ্সাহীন এবং খয়রাতের প্রতি আকৃষ্ট।

তার সঙ্গে মাহবার সম্পর্ক খুব ভালো ছিলো। তার মৃত্যুর সময় মাহবা জিজ্ঞাসা করলেন যে, তাকে কি আদেশ করেন এবং এখন তিনি কার আশ্রয়ে থাকবেন। পাদ্রী বললেন, বর্তমানে খাঁটি ধর্ম কোথাও নেই, সকলই বিকৃত করে ফেলেছে। ইরাকের মোসেল এলাকায় এমন একটি খাঁটি খ্রিস্টধর্মীয় পাদ্রী আছেন, তুমি তার কাছে চলে যাও।

মাহবা বর্ণিত সেই পাদ্রী জিরোমের কাছে গিয়ে সব খুলে বললেন এবং তার কাছে রয়ে গেলেন। জিরোম একজন সত্যিকার আবেদ এবং জাহেদ ছিলেন। কিন্তু তিনি ইলম সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন। দামেশকে থাকাকালে মাহবা তাওরাত, ইঞ্জিল প্রভৃতি আসমানী কিতাব পাঠ করেছিলেন। তাছাড়া ঈশায়ী সাহিত্যে মাহবা বেশ বুৎপত্তি লাভ করেন। বাহেব তার বাছাইয়ের কষ্টিপাথরে টিকে থাকতে পারতো না। একমাত্র এই একটি কারণেই জিরোমের কাছে তার শান্তি মিলছিলো না। শুধু ভাবতে লাগলেন কে তাকে বলে দেবে তার মঞ্জিল কোথায়?

একদিন সায়মানা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার দেখা হয়। তিনি মানভী শাখার এক পাদ্রী। তিনি মাহবার সঙ্গে তার মাজহাব সম্বন্ধে বক্তৃতা করলেন। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে তার মাজহাবের আদর্শসমূহ শিক্ষা করতে শুরু করলেন। কেননা, তার কাজই ছিলো সত্যের অনুসন্ধান করা।

এসময় জিরোম মারা গেলেন। তার মৃত্যুর আগে মাহবা জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার পরে আমি কার কাছে দীক্ষা গ্রহণ করবো?

তিনি মাহবাকে ইরাকেরই নসীবীন এলাকার এক পাদ্রীর খোঁজ দিলেন। তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে সেই পাদ্রীর কাছে থাকলেন। তার মৃত্যুকালে মাহবাকে তিনি আমুরিয়া নামক স্থানের এক পাদ্রীর খোঁজ দিলেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে মাহবা সেই পাদ্রীর কাছে থাকলেন। এখানে সঞ্চয়ের দ্বারা তিনি কিছু পশুপাল সংগ্রহ করেন। পাদ্রীর মৃত্যুর সময় কারো খোঁজ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, বর্তমানে আমার কাছে খাঁটি একটি প্রাণীরও খোঁজ নেই, যার কাছে আশ্রয়ের খোঁজ আমি তোমাকে দেবো। অবশ্য এক নতুন নবীর আবির্ভাব কাল ঘনিয়ে আসছে, যিনি হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর খাঁটি একেশ্বরবাদি আদর্শ নিয়ে আসবেন। আরবে জন্মগ্রহণ করবেন এবং উভয় পাশে কাঁকরময় জমি আর মধ্যস্থলে খেজুর বাগানের আধিক্য_ এমন এক এলাকায় হিজরত করে সেখানে বসবাস করবেন। সে নবীর নিদর্শন এমন হবে যে, তিনি হাদিয়া উপঢৌকন স্বরূপ খাদ্য দিলে তা খাবেন কিন্তু সাদকা-খয়রাতের বস্তু খাবেন না এবং তার কাঁধে মোহরে নবুয়ত থাকবে। যদি তোমার সাধ্যে কুলায় তবে তুমি সে দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করো।

পাদ্রীর মৃত্যুর পর মাহবা কিছুদিন সেখানে অবস্থান করেন। এখানে আরবের একদল বণিকের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়। তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা আমাকে যদি তোমাদের দেশে নিয়ে যাও তবে আমার পশুপাল তোমাদের দিয়ে দেবো। এতে তারা রাজি হলো এবং মাহবাকে সঙ্গে নিয়ে আসলো। কিন্তু তারা ওয়াদিল কোরা নামক স্থানে পৌঁছে তাকে ক্রীতদাস হিসেবে এক ইহুদীর কাছে বিক্রি করে দিলো। এরপর তিনি একজন থেকে আরেক জনের কাছে বিক্রি হতে থাকলেন। এমনিভাবে তিনি তের বা ততোধিক মনিবের হাত বদল হন।

শেষে মদীনাবাসী এক ইহুদী মাহবাকে ক্রয় করলে তিনি মদীনায় পৌঁছেন। এলাকা দেখে তার বিশ্বাস জন্মে যে, এটাই ঐ স্থান যার কথা পাদ্রী বলেছিলেন।

তখনো হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) মক্কা থেকে মদীনায় এসে পৌঁছেন নি। মাহবা অতি যত্নের সঙ্গে তার প্রতীক্ষায় ব্যাকুল থাকতেন। একদিন সে তার মনিবের উপস্থিতিতে খেজুর গাছের উপরে কাজ করছিলেন। হঠাৎ এক লোক এসে তার মনিবকে সংবাদ দিলো যে, কোরা মহল্লায় মক্কা হতে একজন লোক এসেছে। সে নিজেকে নবী বলে দাবি করে।

মাহবা গাছের উপর থেকে কথাগুলো শুনতে পান। তার শরীর শিউরে ওঠে। উত্তেজনায় গাছ থেকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হন। কোন প্রকারে গাছ থেকে নেমে মনিবকে সংবাদটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে মাহবাকে ঘুষি মেরে বললো, তুই কাজে থাক। এ সংবাদে তোর দরকার কি?

মাহবা বিকালে কোরা মহল্লায় উপস্থিত হয়ে কিছু খাদ্যবস্তু হযরতের সামনে পেশ করলেন। হযরত (সা.) সে খাদ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন যে, এগুলো সদকা বা দান। এ কথা শুনে রাসূল (সা.) তা সঙ্গীদের দিয়ে দিলেন, নিজে খেলেন না।

আর একদিন মাহবা কিছু খাবার নিয়ে গেলেন এবং বললেন, আপনি সদকা-খয়রাত গ্রহণ করেন না বলে আমি আজ এগুলো আপনার হাদিয়া স্বরূপ পেশ করছি। হযরত (সা.) সঙ্গীগণসহ তা খেলেন।

মাহবা ভাবলেন, দুইটা নিদর্শন ঠিক হলো। এরপর একদিন হযরত (সা.) বসে ছিলেন। মাহবা তার পিছনে দাঁড়িয়ে পিঠ মোবারক দেখার চেষ্টা করতে লাগলেন। নবীজি তার মনোভাব বুঝতে পেরে কাঁধের কাপড় সরিয়ে ফেললেন। মাহবা তার মোহরে নবুয়ত দেখলেন এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে চুম্বন করে কেঁদে ফেললেন। হযরত (সা.) তার সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহবা তার জীবনের দীর্ঘ কাহিনী শোনালেন এবং তখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন।

মাহবার নাম রাখা হলো সালমান। তিনি পারস্যের অধিবাসী বলে সাহাবীরা তাকে সালমান ফারসী বলে ডাকেন।

যে মহাসত্য সন্ধানে অশেষ দুঃখ-কষ্ট, ঘাত-প্রতিঘাত, দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা তিনি সহ্য করেছেন, সত্য সন্ধানী অতৃপ্ত আত্মা শত বছরেও যার তৃপ্ত হয়নি সেই অতৃপ্ত আত্মা আজ তৃপ্তিতে পরিপূর্ণ। তখন শুধু হৃদয় ছাপিয়ে একটি শব্দই সমস্ত অস্তিত্বজুড়ে প্রভুত্ব করে যাচ্ছিলো ‘পেয়েছি’।

ক্রীতদাসরূপে ইহুদীর কাছে আবদ্ধ থাকায় স্বাধীনভাবে হযরতের সাহচার্য লাভ সম্ভব হচ্ছিলো না। এমন কি বদর এবং ওহুদ যুদ্ধে তিনি শরিক হতে পারেন নি। তাই হযরত (সা.) বললেন, আপনি বিনিময় আদায়ের শর্তে মুক্তি লাভের চুক্তি করে নিন। সে মতে তার মনিবের সঙ্গে আলাপ করলে সে তার মুক্তির জন্য দুইটি শর্ত আরোপ করলো_ ১। তিন বা পাঁচশত খেজুর গাছের চারা সঞ্চয় করে তা রোপণ করতে হবে এবং ঐসব গাছে ফল না আসা পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। ২। চল্লিশ উকিয়া অর্থাৎ ৬ সেরের অধিক পরিমাণ স্বর্ণ প্রদান করতে হবে। এই দুই শর্ত পূরণ করলে তিনি মুক্তি লাভ করবেন বলে চুক্তি সম্পাদিত হলো।

মহানবী (সা.) সাহাবীগণকে বললেন, খেজুরের চারা দিয়ে তোমরা সালমানকে সাহায্য কর। সেমতে কেউ পাঁচটা কেউ দশটা করে খেজুরের চারা তাকে দিলেন। তিন- মতান্তরে পাঁচশ খেজুর চারা জমা হলে হযরত (সা.) সালমান (রা.)কে গাছ রোপণ করার জন্য গর্ত তৈরি করতে বললেন।

গর্ত তৈরি হলে হযরত (সা.) সেখানে এসে নিজ হাতে গাছগুলো রোপণ করলেন। শুধু একটি গাছ ওমর (রা.) রোপণ করলেন। আল্লাহর কুদরতে এক বছরেই ঐ গাছগুলোতে ফল ধরলো। ওমর (রা.)-এর লাগানো গাছে এক বছরে ফল না ধরায় হযরত (সা.) তা উঠিয়ে পুনঃরোপণ করলে ঐ বছর তাতে ফল এসে গেলো। এভাবে প্রথম শর্ত পুরণ হলো।

এদিকে ডিমের আকারে একটি স্বর্ণচাকা হযরত (সা.)-এর হস্তগত হলে তিনি তা সালমান (রা.)কে দিয়ে বললেন, এ দিয়ে আপনার মুক্তির শর্ত পূরণ করুন। সালমান (রা.) এ দিয়ে শর্ত পূরণ হবে না জানালে, নবীজি বললেন, আল্লাহ তায়ালা এর দ্বারাই সম্পূর্ণ আদায় করে দেবেন।

বাস্তবিকই শর্ত আদায়ের জন্য যখন ওজন দেয়া হলো তখন তা চলি্লশ উকিয়া পরিমাণ দেখা গেল। এমনিভাবে দুইটি শর্ত পূরণ হলো এবং সালমান (রা.) আজাদ হয়ে গেলেন।

সত্য সাধনায় জয়লাভের নিশ্চয়তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন হযরত সালমান ফারসী (রা.)। আজকের দ্বিধান্বিত, বহুধাবিভক্ত সমাজের মিথ্যার বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সত্যকে ধারণ করতে হবে। সত্য সর্বজনীন, সুন্দর। সত্য মানুষকে দেয় সঠিক পথ। করে মহিমান্বিত। সত্য ঔদার্যের বিমুগ্ধ অমীয় ধারা ধারণ করে। লহুদলের সঙ্গে মিশে এগিয়ে গড়িয়ে ধেয়ে চলে কোনো অমরাবতীর কূলে। তাই সাধনা করতে হবে। সত্য পেলে মনুষ্য জীবন স্বার্থক হবে। মানুষ পাবে বেহেশতী সমাজ। এটাই আল্লাহ চান। সত্য খোঁজ, ধারণ করো এবং এগিয়ে যাও। আল্লাহ বলেছেন, ‘ যারা আমাকে লাভ করার জন্য আমার পথে সাধনা সংগ্রাম চালিয়ে যাবে, আমি তাদের জন্য অবশ্যই আমার পর্যন্ত পৌঁছার (সকল) পথ সুগম করে দেবো। ‘

– ইব্রাহীম খলীল কাসেমী

 

Leave a comment